শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
নিজস্ব সংবাদদাতা | | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২ : ২৬Soma Majumder
আজকাল ওয়েবডেস্ক: লেবুর শরবতে আয়েশ করে চুমুক দিতেই পাশের ব্যালকনিতে চোখ আটকে যায় ছোট্ট পাতিলেবুর গাছটিতে। বৃষ্টিভেজা সবুজ সতেজ গাছভর্তি লেবু। স্নিগ্ধতা আর সতেজভাব যেন মুহূর্তেই ছেয়ে ফেলেছে শরীর ও মন। তাছাড়া রকমারি লেবুর গাছ ব্যালকনিকে দেবে সতেজ রূপ। অনেকেই ব্যালকনি,বারান্দা, ঘরের জানালা বা ছাদে নানা রকমের ফলের গাছ, কেউ বা শাকসবজির চাষ করেন। বেশিরভাগ গাছপ্রেমী ফুলের গাছে বেশি আনন্দ পান।
বেডরুমের জানলায় যদি লেবু গাছ রাখা যায়, তা ঘুমের ওপর প্রভাব ফেলে। অর্থাৎ গভীর ঘুম হতে সাহায্য করে। এরফলে শরীরে সতেজভাব আসবে আর মেজাজ হবে ফুরফুরে।
লেবু গাছ
লেবু ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ। লেবুতে আছে অ্যান্টিসেপটিক বা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণ, যে কোনও সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে। মানসিক অবসাদ বা শারীরিক ক্লান্তি দূর করে। সাইনাসের সমস্যা দূর করে। ঘরের দুর্গন্ধ দূর করতে সক্ষম। লেবু কিডনির পাথর গলাতে সাহায্য করে। মেদ ঝরায়, ওজন কমায়। লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধি করে। প্রস্রাবে সাইট্রেটের মাত্রা কমায়। জন্ডিসের প্রধান পথ্য লেবু। শুধুমাত্র স্বাস্থ্য নয়, ঘরের অনেক কাজ লেবুর মাধ্যমে হয় তা অনস্বীকার্য।
মাটির একটি বড় টবে জৈবসার মিশ্রিত দোআঁশ মাটি ভরে লেবু গাছ বসান। মাটির টবটি সছিদ্র হতে হবে। টবের ভেতর ইটের কুচো দিয়ে সারমিশ্রিত (গোবর সার, পাতা বা সবজির খোসা পচা, সরষের খইল, নিম খইল, হাড়ের গুঁড়ো, এন পি কে পরিমাণ মতো) মাটি ভরে গাছ লাগান। যেখানে সূর্যের আলো বেশি আসে সেখানে টবটি রাখতে হবে। সপ্তাহে তিন–চার দিন জল দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে টবে জল যাতে না জমে। জল জমলে গাছের শিকড় পচে যাবে। অথবা গাছের পাতা হলুদ হয়ে যাবে। গাছের বৃদ্ধি হবে না।
সঠিক সময়- মধ্য বৈশাখ থেকে আশ্বিনের মাঝামাঝি কলমের গাছ লাগাতে হয়। গাছের ডালপালা ছাঁটতে হয় ভাদ্র থেকে কার্তিক মাসের মধ্যে।
কী সার- টিএসপি, এমওপি, এনপিকে, সরষের খইল ভাল করে মিশিয়ে গাছ থেকে ৬ ইঞ্চি দূর দিয়ে টবে ছড়িয়ে দিন। সার দেওয়ার পর মাটি খুঁড়ে দিতে পারেন অথবা জল দিন।
রোগ ও প্রতিকার- কখনও কখনও গাছের পাতায় প্রজাপতি পোকা ডিম পাড়ে। এই পোকা পাতার ধার থেকে খেতে শুরু করে এবং পুরো পাতাটা খেয়ে ফেলে। সেক্ষেত্রে পাতাটি ছিঁড়ে পুড়িয়ে দিন অথবা মাটিতে পুঁতে দিন। নতুবা ১ মিলি ডিমেক্রন অথবা সেভিন ১ গ্রাম ১ লিটার জলে মিশিয়ে পাতার ওপর–নীচ স্প্রে করুন। পোকা সব সময় পাতার নীচে ডিম পাড়ে।
এছাড়াও ছোট ছোট লাল পোকা বা মাইট পাতার সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে। এরফলে পাতাটি হলুদ হয়ে যায়। ফলের সবুজ অংশও খেয়ে নেয়। ফলের ওপর সাদা আস্তরণ পড়ে। তখন ১ লিটার জলে ২ মিলি ইথিয়ন অথবা ২ মিলি নিউরন জলে মিশিয়ে লেবু গাছটিকে স্নান করিয়ে দিন। লেবু নিয়ে যে কথাগুলি বলা হল তা সাধারণত পাতিলেবু, কাগজিলেবু, হাইব্রিড পাতি লেবু, গন্ধরাজ লেবু, গোরা লেবু, বাতাবিলেবু, কমলা লেবু, মুসম্বি লেবু।
লঙ্কা গাছ
একটি নিত্য প্রয়োজনীয় সবজি হল লঙ্কা। সকলের রান্নাঘরেই এই সবজিকে পাওয়া যায়। তরিতরকারির স্বাদে লঙ্কা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফাস্ট ফুডেও লঙ্কা (ক্যাপসিকাম) স্বাদ তৈরিতে অনস্বীকার্য।
মাটির ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি টবে লঙ্কা গাছ তৈরি করা যায়। তবে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো, জল বা বায়ু চলাচল করতে পারে এমন জায়গায় টব বসান। তবে প্রখর রোদে টব না রাখায় শ্রেয়। মাটির বা প্লাস্টিকের টব সছিদ্র হতে হবে। বেশি জল যাতে জমতে না পারে খেয়াল রাখুন।
মাটি তৈরি- লঙ্কার জন্য বেলে মাটি খুব ভাল। গাছ বসানোর এক সপ্তাহ আগে গোবর সার, সবজির খোসা পচা, সরষের খইল, নিম খইল বা ভার্মিকম্পোস্ট, হাড়ের গুঁড়ো মিশিয়ে মাটি তৈরি করুন। তারপর গাছ বসান। গাছ বাড়িতেও তৈরি করতে পারেন।
সার প্রয়োগ- গাছ বসানোর ১৫ দিন পর থেকে ১ চামচ করে ইউরিয়া, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট মিশিয়ে গাছের গোড়া থেকে ৬ ইঞ্চি দূর দিয়ে ছড়িয়ে দিন।
জল- গাছের গোড়ায় রোজ জল দেবেন। টবে যাতে জল জমে না যায়। গাছের পাতাতেও জল স্প্রে করতে পারেন।
রোগ ও প্রতিকার- পাতায় যদি পিঁপড়ে বা মাকড়সার উৎপাত হয় তাহলে নিম তেল স্প্রে করুন। রোগটপ্লাস বা ক্যারিনা ১ লিটার জলে ৩০ ফোঁটা করে মিশিয়ে গাছের পাতায় স্প্রে করুন।
উপকারিতা— ওজন কমাতে সাহায্য করে, হৃদরোগ প্রতিরোধ করে, সুগারের রোগীদের ক্ষেত্রেও উপকারী। ভিটামিন সি থাকায় রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে, অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য আছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রক্তচাপ কমাতে, রক্ত সঞ্চালন করতে, ক্যালরির পরিমাণ কমিয়ে খিদে কমাতে সাহায্য করে।
#HowtoPlantLemonandChilliPlantsatHome#Lemon#Chilli
বিশেষ খবর
নানান খবর
নানান খবর
রেস্তোরাঁ-পাব নয়, বাড়িতেই বর্ষবরণের আয়োজন করতে চান? রইল ‘হাউস পার্টি’র খুঁটিনাটির হদিশ...
ডায়বেটিস থেকে ওবেসিটি, কমায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায়ও, শীতকালীন এই সবজিতে আর কী গুণ আছে জানুন...
শীতের এই ৫ খাবার ভিটামিনের খনি, নিয়মিত পাতে রাখলে চড়চড়িয়ে বাড়বে ইমিউনিটি...
খাবার খেতে বসে মুঠো মুঠো কাঁচা লঙ্কা খান? আদৌও কোনও উপকার হচ্ছে নাকি বাড়ছে বিপদ? জানুন সত্যিটা...
রোজ রাতে ভাত খাওয়ার অভ্যাস? অজান্তেই কোনো বড় বিপদ শরীরে জাঁকিয়ে বসছে না তো? জানুন আসল সত্যি ...
নিয়মিত মদ্যপানে বাড়তে পারে ওজন! সত্যি কি তাই? বিভ্রান্তি না রেখে জানুন গবেষণা কী বলছে...
জব্দ হবে ডায়াবেটিস-কোলেস্টেরল, শীতে মধুর সঙ্গে এই মশলা খেলেই কাছে ঘেঁষবে না সর্দি-কাশি...
পুষ্টিগুণে ভরপুর এই সবজি, কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে গ্যাস্ট্রিক-সহ বহু রোগের উপশম করে, জানুন অন্য উপকারিতাও...
রাতভর পার্টির প্ল্যান? দেদার খানাপিনার পর এই ৫ নিয়ম মানলেই সকালে থাকবেন চাঙ্গা...
ক্রিসমাসে কেন লাল-সবুজ রং বেশি ব্যবহার হয়? বড়দিনে কোন রঙের কী বার্তা? আসল ইতিহাস জানলে চমকে যাবেন...
পার্লারে গিয়ে ওয়াক্সিং করার সময় নেই? এই ঘরোয়া উপায়ে নিমেষেই দূর করা যাবে অবাঞ্ছিত লোম...
এক সবজিতেই ধরাশায়ী হবে সুগার ও কোলেস্টেরল। পাতে রাখলেই চিরযৌবন...
নামিদামী কোম্পানির ময়েশ্চারাইজার ভুলে যাবেন, শীতে শুষ্ক ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ব্যবহার করুন এই বাদামের ক্রিম...
পার্লারে খরচ নয়, বলিরেখা ও ট্যান দূর করতে রান্নাঘরের এইসব সস্তার জিনিসেই হবে বাজিমাত ...
প্রেগন্যান্সিতে ঘন ঘন গা গুলোচ্ছে? শুকনো কাশি হলেও বিপদ, ঘরোয়া এই আদার ক্যান্ডিতেই মিলবে স্বস্তি, জানুন কীভাবে বানাবেন...